বহুদিন
আগে ‘সুলতানার স্বপ্ন’ পড়েছিলাম। সেখানে তিনি পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে
গিয়ে নতুন নারী দেশ গঠন করা কথা বলেছেন, সেখানে একমাত্র নারীর অধিকার
থাকবে, পুরুষ থাকবে ঘরে আর নারীরা তাদের ক্ষমতার প্রদর্শন করবে। কাজী
নজরুলের ‘নারী’ কবিতাতেও পাই, ‘‘সেদিন সুদূর নয়/যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে
গাহিবে নারীরও জয়!’’ অর্থাৎ নারী মুক্তির জন্য রেকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’
—র তীব্র প্রতিবাদী চরিত্র সকল নারীর মধ্যে জেগে উঠেছিল। চন্দ্রাবতীকে যদি
বাঙালি প্রথম নারীবাদী হিসেবে স্বীকার করা হয় তাহলে দ্বিতীয়ত রোকেয়ার
নামটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চন্দ্রাবতীর প্রতিবাদের ভাষা সরল ভাবব্যঞ্জক ও
রোমহর্ষক কিন্তু রোকেয়ার প্রতিবাদী ভাষা কঠোর ও তীব্র জ্বালাময়ী যা
তৎকালীন সমাজপতিদের রক্তচক্ষুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
মতিচূর
গ্রন্থের ‘স্ত্রী জাতির অবনতি’ প্রবন্ধে রোকেয়া বলেছেন, “আমাদের যখন
স্বাধীনতা ও অধীনতাজ্ঞান বা উন্নতি ও অবনতির যে প্রভেদ তাহা বুঝিবার
সামর্থটুকু থাকিল না, তখন কাজেই তাহারা ভূস্বামী, গৃহস্বামী হইতে ক্রমে
আমাদের স্বামী হইয়া উঠিলেন। আর আমরা ক্রমশঃ তাহাদের গৃহপালিত পশুপক্ষীর
অন্তর্গত অথবা মূল্যবান সম্পত্তি বিশেষ হইয়া পড়িয়াছি।” অর্থাৎ
পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিয়মানুবর্তিতার হিংস্রতা এতটা ব্যাপক ছিল যে
তৎকালীন সময়ে নারীদের অসহায়ত্বের পরিণামকে অবজ্ঞার চোখে পশুদের পর্যায়ে
নিয়ে আসা হয়েছিল। হুমায়ূন আজাদ লিখেছেন... “রোকেয়ার রচনাবলির প্রধান
বৈশিষ্ট্য। পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ; পশ্চিমের প্রথম নারীবাদী মেরি
ওলস্টোনক্র্যাফটের মধ্যেও এতোখানি পুরুষবিদ্বেষ ও দ্রোহিতা দেখা যায় না।
মেরি পুরুষকে সমকক্ষ বন্ধু হিশেবে মেনে নিয়েছিলেন, রোকেয়া তাও মানতে রাজি
হননি। মেরির সাথে রোকেয়ার জীবনের মিল ও অমিল দু-ই চোখে পড়ে।” এমনকি স্বামী ও
পিতার জন্যও এতটুকু কাঙাল ছিলেন না, ভাইদের প্রতি আলাদা টান ছিল বলেই
হয়তোবা পিতৃতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে গিয়েও সমাজের বহুকিছুকে মেনে নিতে
হয়েছিল।
কালিদাস
রায় মন্দিরা পত্রিকায় বলেছেন, তৎকালীন সময়ে কলকাতায় যখন কোন নারী ঘরের
বাইরে বেরোতে পেতো না ঠিক ঐসময়ে রংপুরের মেয়েরা মাথার ঘোমটা খুলে বাইরে
বেড়াতেন। অর্থাৎ নারী আন্দোলনের ব্যাপকতা ও জনসচেতনতায় নারীরা তখন স্বয়ং
সম্পূর্ণ, অর্ধনারীশ্বর নন! রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বাংলা সাহিত্যের
প্রথম ও শেষ ইউটোপিয়া বললে অন্ততঃ ভুল হবে না। এর চেয়ে এতো মূল্যবান
সম্পদ দ্বিতীয়টি বাংলাদেশে আর সম্ভব নয়! ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বহু নারীর
অসহায়ত্বের প্রাসঙ্গিক জীবনে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করে। এটি
ইউটোপিয়ান সাহিত্যের ক্লাসিক নিদর্শন বলে ব্যাপক আলোচিত গ্রন্থ। ‘সুলতানার
স্বপ্ন’ অবলম্বনে স্প্যানিশ নির্মাতা ইসাবেল হারগুয়েরা তৈরি করেছেন
অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘এল সুয়েনো দে লা সুলতানা।’ রোকেয়ার পারিপার্শ্বিক
সমাজব্যবস্থার ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের ভঙ্গুর দিনগুলোর কথা জানতে হলে
‘সুলতানার স্বপ্ন’ বইটির পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়তেই হবে। মতিচূর,
অবরোধবাসিনী, পদ্মরাগ সম্পর্কে না জানলে রোকেয়ার ভাবনার জগৎ সমন্ধে ধারণা
জন্মাবে না।
একজন
পুরুষ যেভাবে চলেন, তেমনি একজন নারী যদি সেভাবে চলতে চায় বর্তমান
সমাজব্যবস্থা হেয়প্রতিপন্ন করবে। কলঙ্কিনী, দুশ্চরিত্রা, বেশ্যা বলবে। অথচ
রোকেয়া রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়েও এ কথা বলেছিলেন, তিনি
কুয়োরব্যাঙ হয়ে জীবন কাটাতে চাননি। পিতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী
সাবের বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার ঘোর বিরোধী ছিলেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে
রোকেয়া সবচেয়ে বেশি পেয়েছিলেন ভাইদের এবং বিবাহ পরবর্তী সময়ে স্বামী
সাখাওয়াত হোসেনের কিছুটা সহায়তা পেয়েছিলেন। তবে রোকেয়ার পুরুষতন্ত্র বা
পিতৃতন্ত্রের উপর তেমন ভরসা ছিল না। জ্ঞানপিপাসা ছিল অসীম। গভীর রাতগুলোতে
মোমবাতি জ্বালিয়ে বাড়ির সবার আড়ালে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন বড় ভাইয়ের
কাছ থেকে। বড় ভাই বলেছিলেন, “বোন, এই ইংরেজি ভাষাটা যদি শিখে নিতে পারিস,
তবে পৃথিবীর এক রত্নভাণ্ডারের দ্বার তোর কাছে খুলে যাবে—” সত্যিই! একদিন সে
দ্বার উন্মোচন হয়েছিল বলেই নারীর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রোকেয়া
মাঠপর্যায়ের নেমে এসেছিলেন নারী শিক্ষার জন্য। শিক্ষার প্রতি একান্ত
আগ্রহ রোকেয়ার পরবর্তী জীবনকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছে।
জাগো
ভগিনীগণ বলে রোকেয়া যখন পত্র-পত্রিকাগুলোতে তার অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন,
তখনও কিছু লোক তার পিছনে লেগেছিল, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রোকেয়া
লিখেছিলেন... “ভগিনীগণ! চক্ষু রগড়াইয়া জাগিয়া উঠুন-অগ্রসর হউন! বুক
ঠুকিয়া বল মা, আমরা পশু নই। বল ভগিনী, আমরা আসবাব নই; বল কন্যে, আমরা জড়
অলংকার-রূপে লোহার সিন্দুকে আবদ্ধ থাকিবার বস্তু নই; সকলে সমস্বরে বল, আমরা
মানুষ।” ( সূত্রঃ সুবেহ সাদেক/ মোয়াজ্জিন, আষাঢ়-শ্রাবণ, ১৩৩৭) এভাবেই
নারীদের জাগরণের কথা বলে গেছেন আজীবন। ‘অবরোধবাসিনী’ গ্রন্থে ৪৭ টি ঘটনার
কথা বলে আমাদের চিন্তাকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অবরোধপ্রথাকে ঘৃণা করে
নারীমুক্তির ব্যাপারে জোর দিয়ে যে বিষয়গুলোর ব্যাখা ও উদাহরণ দিয়েছেন তা
নারী জাগরণের আন্দোলনের অন্যতম দিকনির্দেশনা বলে মনে করি। স্বামীর মৃত্যুর
পর ১৯০৯ সালের ১লা অক্টোবর স্বামীর প্রদত্ত অর্থে পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে
তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস’ স্কুল স্থাপন করেন। কিন্তু
সেখানে তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে বেশিদিন থাকতে পারেননি কলকাতা চলে
আসেন এবং ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি
বাড়িতে মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে নতুন করে ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল উর্দু
প্রাইমারী স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। যা ১৯৩১ সালে উচ্চ ইংরেজি গার্লস স্কুলে
পরিণত হয়। মুসলিম নারী জাগরণের জন্য ১৯১৬ সালে ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতীন
ইসলাম’ বা ‘মুসলিম মহিলা সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ সমিতির জন্য তিনি
মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছিলেন। নিরলস পরিশ্রম ও কঠোর সাধনার মাধ্যমে
মানুষের কল্যাণ চিন্তাবোধ রোকেয়াকে মহিয়সি করে তুলেছিল।
০৯
ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্ম নেয়া এই
মহিয়সি নারীর জন্মভিটা বর্তমানে অযত্নে ভগ্নস্তুপের শ্যাওলা ধরা মাটির
সাথে মিশে যাচ্ছে; চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভগ্নস্তুপের ইটগুলো যেন সাক্ষী
দিচ্ছে, এককালে এখানেই হেঁটে বেড়াতেন বাংলার এক অদম্য সাহসী নারী।
রোকেয়ার জীবনী পাঠে জানা যায়, বড় ভাই ইব্রাহিমের ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং
রোকেয়ার আগ্রহের কারণে বাংলা ইংরেজি শেখা সম্ভব হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে
মেয়েদের লেখাপড়া করা পাপ বলে সমাজের কুসংস্কার ছিল। রোকেয়া সেই নীতিকে
ভেঙে নারীদের নতুন পথচলা শুরু করেছিলেন।
রোকেয়ার
জন্মের ১৪৫ বছর পর আমরা এসেছি, তার বাড়িটি স্ব-চক্ষে দেখতে, কোন নারীর
পূর্বাপর ইতিহাস খুঁজতে যাইনি কিন্তু ভগ্নস্তুপের শ্যাওলা জমানো নির্জন
জায়গাটি দেখে ভূতুড়ে বাড়ির কথা মনে আসে; হ্যাঁ! এই বাড়িতেই শিশুকালে
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম। এখন বাড়িটির সমস্ত
জুড়ে ভগ্নস্তুপের ভয়াবহ আরতি, যেন কেউ কোথাও নেই; হরিতকি গাছের নিচে
শ্যাওলা মাটির বুক চিঁড়ে পরগাছাদের হুল্লোড়, ঝাড়ুদার নেই, এক বৃদ্ধা
সেখানটা দেখাশোনা করেন মাঝেমধ্যে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেন।
বাড়িটির
নির্জনতা পাখির অনর্গল গুনগুন আমাদের উল্লাসিত করে তোলে— পাশেই ‘বেগম
রোকেয়া স্মৃতি পাঠাগার’ ভেতরে তিন-চার হাজার বই, পাঠকের বসার আসন, উপরে
টাঙানো একটি ছবিতে রোকেয়ায় হাস্যোজ্জ্বল মুখ, উদ্দামী চেহারা আমাকে আরও
আগ্রহী করে তোলে। রোকেয়ার স্মৃতিকে ধরে রাখতে তার জন্মভিটায় ১৯৯২ সালে
পায়রাবন্দ সরকারি বেগম রোকেয়া স্মৃতি মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে এবং
সরকারি উদ্যোগে ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র’ স্থাপিত হয়েছে। এটি এখন
সকলের জন্য উন্মুক্ত ও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। রংপুরের শতরঞ্জির কথা ভুলে
গেলে চলে না, তৎকালীন সময়ে পাটশিল্পের কদর ছিল, পাটের তৈরি কারুশিল্পের
জায়গা দখল করেছে আধুনিক শিল্প ব্যবস্থা; পাঠাগারের গা ঘেঁষে কারুশিল্পের
দোকান, পাটের তৈরি জুতা, পাদানি, কাঠের চিরুনি, নানান তৈজসপত্র এক্কেবারে
লোভনীয়।
নির্জন
বাড়িটি নিয়ে আগ্রহ এখন আরও প্রবল! দু’একটি জায়গায় ইটের গাঁথুনি ছাড়া
অবশিষ্ট আর কিছুই নেই। ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি অডিটোরিয়ামে’ রংপুর বিভাগীয়
পাঠক সম্মেলনের আয়োজনে পাঁচ শতাধিক কবি-সাহিত্যিক ও পাঠকের আগমন ঘটেছিল—
এই বাড়িটিকে ঘিরে। হ্যাঁ! সে বারই প্রথম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের
জন্মভিটায় পা রাখার সুযোগ পেলাম।
জন্মভূমির
প্রতি রোকেয়ার ছিল আলাদা মাতৃসুলভ টান ‘প্রবাসী রবীন ও তার জন্মভূমি’
কবিতাটি পড়লে মনে হয়, এটি যেন রোকেয়ার নিজস্ব স্মৃতিকে জড়িয়েই রচিত
হয়েছে, তিনি বলেন....
“জন্মভূমি রে হায়! সহজে কি ছাড়া যায়?
স্বর্গাধিক গরিয়সী তোমারে জেনেছি।”
রোকেয়া
স্মৃতিকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতেই বই হাতে রোকেয়ার একটি ভাস্কর্য দেখতে
পাওয়া গেল— পাশেই শান বাঁধানো পুকুর শাপলা ফুটে আছে। রোকেয়া
স্মৃতিস্তম্ভে প্রতিবছর রোকেয়া দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নারী মুক্তির অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা
হয়ে থাকে। তিনিই হাজার হাজার নারীকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে এসে সুশিক্ষায়
আলোকিত করেছিলেন। তার কাছে আমাদের ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়!
১৯৩২
সালের ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
রোকেয়ার জীবনী রচয়িতা শামসুন নাহার বি.এ বলেন...“রোকেয়া মরিলেন-জাতিকে
অচ্ছেদ্য ঋণপাশে বাঁধিয়া তিনি নক্ষত্রের দেশে নিরুদ্দেশ হইলেন।…….. ১৯৩২
খ্রিস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর। রোকেয়াকে হারাইয়া সেদিন কলকাতা মহানগরীতে যেন
শোকের তুফান বহিয়াছিল। বাংলার মুসলমান নারী-পুরুষ সকলেই সেদিন বজ্রাহত।”
জীবনের শেষদিনগুলোতেও তাকে মানুষের লাঞ্ছনা, অপমান সহ্য করে যেতে হয়েছিল।
অথচ মানুষের জন্য তিনি কি না করেছেন? নারীদের অসহায়ত্বের বিরুদ্ধে
বজ্রকণ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন কিন্তু জীবনে কি পেয়েছেন? আমরা কিছুই দিতে পারেনি,
লাঞ্ছনা, অপমান আর বিদ্রুপের কঠোরতায় তার অন্তরকে বারবার দগ্ধ করেছি। অথচ
মৃত্যুর অন্তিম শয্যায় দিনে বহু নর-নারী হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান
ভেদজ্ঞান ভুলে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। রোকেয়া তার ক্লান্তিহীন জীবনের
শেষ মুহূর্তে এসেও যেন বলে গেলেন, ‘উঠ! ভগিনীগণ জাগ্রত হও!’
তথ্যসূত্রঃ
১. রোকেয়া জীবনী — শামসুন নাহার বি.এ
২. বাঙালির দর্শন — প্রফেসর ড. রামদুলাল রায়/ উপমা প্রকাশন, দ্বিতীয় প্রকাশ, জানুয়ারী ২০১১
৩. বাংলাদেশের নারী কবি/ মননরেখা, ৩য় বর্ষ, সংখ্যা ৬, ডিসেম্বর ২০১৯